হার্ট অ্যাটাক মৃত্যুবরণ করেছেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ৮ টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ৮ টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
বিএসএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান মিশকাত আহমেদ চৌধুরী এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বিএসএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগের প্রফেসর মোস্তফা জামান বলেন, ‘উনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আগে থেকেই তার হার্টে পাঁচটি রিং পরানো ছিল। আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে তার আরেকটি অ্যাটাক হয়। আমরা ওনার ছেলেকে ডাকিয়েছি। তার লাইফ সাপোর্টের যে ইনটিউবিশন টিউব ছিল সেগুলো খুলে নেয়া হবে কিনা তা নিয়ে কথা বলেছি। অবশেষে রাত ৮ টা ৪০ মিনিটে ওনাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।’
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। রোববার কারাগারে বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। কারা কর্তৃপক্ষ এদিন বিকেলে সাঈদীকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে তাকে বিএসএমএমইউ-তে পাঠানো হয়।
শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার রফিকুল ইসলাম সে সময় সাংবাদিকদের জানান, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে বিকেলে ওই হাসপাতালে আনা হয়। ইসিজিসহ বেশ কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখা যায়, তার সুগার অনেক বেশি, প্রেশার নিয়ন্ত্রণে নেই। যে কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় বিএসএসএমইউতে পাঠানো হয়েছে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। বর্তমানে তিনি ওই মামলায় সাজাভোগ করছেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন সাঈদী। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।