রমজান মাস: পবিত্রতা, সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস

সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য রমজান মাস বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এটি ইসলাম ধর্মের অন্যতম পবিত্র মাস, যেখানে মুসলমানরা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকেন। এই মাস আত্মসংযম, ধৈর্য, দানশীলতা ও আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দেয়।
রমজানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো সেহরি ও ইফতার। মুসলমানরা ভোর রাতে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু করেন এবং সন্ধ্যায় ইফতার করেন। এই সময় বিভিন্ন মসজিদ, সংগঠন এবং ব্যক্তি উদ্যোগে ইফতার বিতরণের আয়োজন করা হয়।
রমজান মাসের আরেকটি বিশেষ দিক হলো তারাবিহ নামাজ ও লাইলাতুল কদর। এই মাসে মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য বেশি বেশি নামাজ আদায় করেন, কুরআন তিলাওয়াত করেন এবং দান-সদকা করেন। বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা হয়, যা কুরআন অনুযায়ী হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা বেড়ে যায়। তবে বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়াচ্ছে। সরকার ও প্রশাসন বাজার স্থিতিশীল রাখতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে।
রমজান মাস কেবল ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের জন্য নয়, বরং এটি আত্মশুদ্ধির সময়। এই মাসে ধনী-গরিব সবাই একসঙ্গে ইবাদত ও সংযম চর্চার মাধ্যমে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করে।
রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে ইসলামিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, “রমজান হলো আত্মনিয়ন্ত্রণ, ধৈর্য ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাস। এই মাস আমাদের জীবনে শৃঙ্খলা ও সহানুভূতির শিক্ষা দেয়।”
শেষ কথা
রমজান শুধু উপবাসের মাস নয়, এটি আত্মনিয়ন্ত্রণ ও আত্মশুদ্ধির মাস। সঠিকভাবে এই মাস পালন করলে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব